গুমের ঘটনার জেরে বহু মানুষ নিখোঁজ হওয়ার পরে জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদকারীদের একটি ছোট দল শেখ হাসিনার পদত্যাগের কিছু ঘণ্টা পর সেনা সদর দফতরের সামনে উপস্থিত হয়।
এই দলে এরকম কিছু ব্যক্তিও ছিলেন, যাঁরা শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছিলেন, কিন্তু বেঁচে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, যিনি দেড় বছর নিখোঁজ ছিলেন।
“আমরা দিন-রাত ঘুমাতে পারতাম না,” রহমান আয়নাঘর সম্পর্কে বলেন। “লোকেরা কাঁদত, চিৎকার করত, তাদের নির্যাতন করা হতো।”
ফটকে উপস্থিত নারীরা তাদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের খুঁজছিলেন। তারা বহু বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন, তাদের স্বজনদের খোঁজে। জীবিত না পেলেও তারা চান তাদের স্বজনের মরদেহের সন্ধানটুকু পেতে।
এই ঘটনার কয়েকদিন পরে আরমান, আজমি এবং মাইকেল চাকমা ফিরে আসেন। তাদের এই মুক্তি গুমের শিকার অন্য ব্যক্তিদের মা, বোন, স্ত্রী এবং কন্যাদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।
ঢাকা সেনা সদর দফতরের মতো দেশের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন সেনা ঘাঁটির বাইরে অনেক লোক তাদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের খুঁজছেন। তাদের সবার প্রশ্ন, “আমাদের প্রিয়জন কোথায়?” তাদের প্রিয়জন হারিয়ে যাওয়া এই ব্যক্তিরা যেখানেই জড়ো হন, তাদের দাবি, “এই আয়নাঘরগুলো বন্ধ করো।”