**বিসিবির শাস্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি হাথুরুসিংহের**
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিসিবির শাস্তির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তবে আজ সন্ধ্যায় পাঠানো একটি লিখিত বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কান এই কোচ বিসিবির অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের পাশাপাশি তাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
হাথুরুসিংহে বিবৃতিতে বলেছেন, “বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার চুক্তি বাতিল করার পর আমি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছি। তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অসত্য বলে আমি মনে করি।”
**বিশ্বকাপ দলের খেলোয়াড়ের প্রতি অনুচিত আচরণের অভিযোগ**
বিসিবি হাথুরুসিংহেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় একজন খেলোয়াড়ের প্রতি অনুচিত আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে হাথুরুসিংহে বলেন, “এই ঘটনার সময় ডাগআউট এবং ড্রেসিংরুমটি ক্যামেরার দৃষ্টির মধ্যে ছিল। সুতরাং সেখানে যদি কিছু ঘটে থাকে, তবে এর প্রমাণ থাকার কথা। কিন্তু আমাকে এমন কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষীর মুখোমুখি করা হয়নি।”
**অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের অভিযোগ**
এ ছাড়া হাথুরুসিংহেকে অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের অভিযোগে দায়ী করা হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, “যখনই ব্যক্তিগত ছুটি নিয়েছি, আমি প্রধান নির্বাহী বা ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েছি। বিসিবি কখনও আমাকে জানায়নি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যখনই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা অনুমোদন দিয়েছে।”
**বিসিবির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন**
হাথুরুসিংহে আরও বলেন, “বিপিএল চলাকালীন বিদেশি কোচদের ছুটি নেওয়া সাধারণ নিয়ম। এ নিয়ম আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ছিল। বিপিএলের সময় নেওয়া ছুটি বিবেচনা করা হয়নি এবং এটি আমার চুক্তি অনুযায়ী পাওনা ছুটির বাইরেও ছিল।”
তিনি বিসিবির শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, “নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই প্রকাশ্যে প্রধান কোচকে সরানোর ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। নতুন কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে আমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”
হাথুরুসিংহে তার সততা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমি সত্যের জয় হবে এবং আমি যে খেলাটিকে ভালোবাসি, সেখানে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”